জুলাই ২৩, ২০২৫, ১০:২০ পিএম
বাংলাদেশের ঘরে ঘরে রান্নায় ব্যবহৃত হয় হলুদ। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণের জন্য বহু বছর ধরে হলুদকে স্বাস্থ্যকর মসলা হিসেবে ধরা হয়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা ও পুষ্টিবিদদের মতে, অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণ কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কখন এ নিয়ে সতর্কতা জরুরি, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন পুষ্টিবিদরা।
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক উপাদান, যা শরীরের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত গ্রহণে কিডনিতে অক্সালেট জমা হতে পারে। এই অক্সালেট কিডনিতে স্টোন তৈরির অন্যতম কারণ। বিশেষ করে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে বা আগে কিডনি স্টোন হয়েছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত হলুদ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
সর্বাধিক পঠিত
ঢাকার শীর্ষস্থানীয় পুষ্টিবিদ ডা. ফারহানা ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন ১-২ গ্রাম হলুদ গ্রহণ নিরাপদ। তবে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের আরও কম পরিমাণে হলুদ খাওয়া উচিত। রান্নায় স্বাভাবিক মাত্রায় হলুদ ব্যবহার করলে সমস্যা নেই, কিন্তু হলুদ দুধ, হলুদ চা বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণ ঝুঁকি বাড়াতে পারে।”
কখন সতর্ক হবেন?
- কিডনিতে আগে স্টোন হলে
- কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে
- পরিবারের কারও কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে
- অতিরিক্ত হলুদ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরের জন্য উপকারী হলেও, অতিরিক্ত গ্রহণ এড়িয়ে চলা উচিত। কিডনি রোগীদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া হলুদ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন: