বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২

চট্টগ্রাম বন্দরের চাপ কমাতে ৬৫ পণ্যের খালাস হবে আইসিডি‍‍`তে:

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম

চট্টগ্রাম বন্দরের চাপ কমাতে ৬৫ পণ্যের খালাস হবে আইসিডি‍‍`তে:

ছবি- সংগৃহীত

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতি আনতে বেসরকারি ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি)/অফ-ডকগুলোতে খালাসযোগ্য পণ্যের সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে ৬৫ ধরনের আমদানি পণ্য এসব অফ-ডকের মাধ্যমে স্থানান্তর, আনস্টাফিং ও ডেলিভারির অনুমতি পাবে, যা দেশের বাণিজ্য ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বুধবার (২৩ জুলাই, ২০২৫) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমদানি পণ্য খালাসে গতি আনতে এর আগে ৩৮টি পণ্য অফ-ডকের মাধ্যমে খালাসের অনুমতি ছিল। এরপর চলতি বছরের ৮ এপ্রিল নতুন করে ১২টি পণ্য এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সর্বশেষ, গত ১৭ জুলাই আরও ১৫টি পণ্য যুক্ত করার মধ্য দিয়ে মোট খালাসযোগ্য পণ্যের সংখ্যা ৬৫টিতে উন্নীত হয়েছে। এই ধারাবাহিক পদক্ষেপ বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়াকে সহজ করার এনবিআর-এর প্রচেষ্টারই অংশ।

এনবিআর জানিয়েছে, ব্যবসায়ী ও অংশীজনদের অনুরোধ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের মতামতের ভিত্তিতে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন চট্টগ্রামে অবস্থিত ১৯টি অনুমোদিত আইসিডি/অফ-ডক তাদের পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবে, অন্যদিকে মূল চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর থেকে চাপ অনেকটাই কমবে। এতে করে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও নির্বিঘ্ন হবে, যা দীর্ঘদিনের বন্দর জটের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্দরের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে এবং পণ্য দ্রুত খালাস করে সরবরাহ চেইনকে সচল রাখতে এই ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। মূল বন্দরে জাহাজের অপেক্ষার সময় কমলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এনবিআর আরও বলছে, এই উদ্যোগে দেশের ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বা বাণিজ্য সহায়তা বাড়বে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্য দ্রুত খালাস হলে আমদানিকারকদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে, যা তাদের ব্যবসা পরিচালনায় সুবিধা দেবে। রপ্তানিকারকরাও দ্রুত কাঁচামাল পেয়ে উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল রাখতে পারবেন। সব মিলিয়ে, এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।