বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জে আরও দুই মামলা, আসামি ১৪৪২: মোট ১০টি মামলা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম

গোপালগঞ্জে আরও দুই মামলা, আসামি ১৪৪২: মোট ১০টি মামলা

ছবি- সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুইটি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই দুইটি মামলায় মোট ১ হাজার ৪৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে, যা জেলার এই সংশ্লিষ্ট ঘটনায় দায়েরকৃত মোট মামলার সংখ্যাকে ১০-এ উন্নীত করেছে।

নতুন এই মামলা দুইটি পুলিশ এবং গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার কর্তৃক যথাক্রমে সদর ও টুঙ্গিপাড়া থানায় দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১০টি মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৬০০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৯ হাজার ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

  • টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা: টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি নুরুল ইসলাম শেখ ও সাধারণ সম্পাদক ইফতি জামানসহ (পল্লব) ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ১৫(৩) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই এনসিপির পদযাত্রাকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে পিরোজপুর-ঢাকা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয় এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করা হয়।

  • গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা: গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলার ঘটনায় কারাগারের জেলার তানিয়া জামান বাদী হয়ে সদর থানায় অপর মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাতনামা আরও ১০০০ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

     

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাহেদুর রহমান এবং টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম পৃথকভাবে এই নতুন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় এবং পরবর্তীতে কারফিউ জারি করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত ১৬ জুলাই থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার পাঁচটি থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর থানায় নতুন ১১ জনসহ ১১২ জন, কাশিয়ানী থানায় ৭৭ জন, মুকসুদপুরে ৮৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২৯ জন ও কোটালীপাড়ায় ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।