আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
বলিউডের তারকাদের বিচ্ছেদ মানেই কোটি কোটি টাকার অঙ্ক, যা প্রায়শই আলোচনার জন্ম দেয়। তবে হৃতিক রোশন ও সুজান খানের বিচ্ছেদ শুধু আলোচনার বিষয় নয়, এটি বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদের রেকর্ড গড়েছে। এই সম্পর্কের অবসান এবং এর আর্থিক নিষ্পত্তির পেছনের প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে।
হৃতিক রোশন, যিনি প্রখ্যাত নির্মাতা রাকেশ রোশনের পুত্র, এবং সুজান খান, অভিনেতা সঞ্জয় খানের কন্যা, শৈশব থেকেই একে অপরের বন্ধু ছিলেন। ২০০০ সালে হৃতিকের প্রথম ছবি ‘কাহো না... পেয়ার হ্যায়’-এর মুক্তির ঠিক পরপরই এই জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই পুত্র সন্তান, হৃহান এবং হৃদান, জন্ম নেয়। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের দিকে ‘কাইটস’ ছবির শুটিংয়ের সময় তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। অবশেষে ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়, যা ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটায়।
আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই বিচ্ছেদের আর্থিক নিষ্পত্তি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। বিশেষ করে, সুজান খানের প্রাপ্তির অঙ্কটি তখন সারা ভারতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুজান বিচ্ছেদ নিষ্পত্তিতে ৩৮০ কোটি রুপি (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২৭ কোটি টাকা) পেয়েছিলেন। এটি নগদ অর্থ, সম্পত্তি বা বিনিয়োগের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য অপ্রকাশিত থাকলেও, এই বিশাল অঙ্কটি বলিউডের ইতিহাসে অন্য সব তারকা বিচ্ছেদের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
তবে, সম্পর্কের ইতি ঘটলেও হৃতিক ও সুজান একে অপরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তাদের দুই সন্তানের যৌথ অভিভাবকত্ব পালন করছেন তারা এবং প্রায়ই পারিবারিক অনুষ্ঠানে বা ভ্রমণে একসঙ্গে দেখা যায়। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তারকাদের বিচ্ছেদের পর তিক্ততার পরিবর্তে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখার এক অনন্য উদাহরণ।
বর্তমানে হৃতিক রোশন অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন এবং সুজান খান আর্সলান গোনির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। হৃতিককে শিগগিরই বড় পর্দায় দেখা যাবে ‘ওয়ার ২’ ছবিতে, যা আগামী ১৪ আগস্ট মুক্তি পাবে। এই খবরটি আবারও হৃতিককে বিনোদন জগতের আলোচনায় নিয়ে এসেছে।
বিচ্ছেদ এবং এর বিশাল আর্থিক প্রভাবের পাশাপাশি, এই ঘটনাটি বলিউড তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনের স্বচ্ছতা এবং গণমাধ্যমের আগ্রহের প্রতিফলন। এটি কেবল একটি বিচ্ছেদ নয়, বরং তারকাদের জীবনের একটি নতুন অধ্যায়, যা তাদের ভক্তদের কাছেও প্রাসঙ্গিক।