আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এর ফলে দেশের ১২টি জেলায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে সতর্ক করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এই জেলাগুলোর নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় জনজীবনে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। একই সাথে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এই বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, তিস্তা নদীর পানি এরইমধ্যে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানি সমতল আরও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর এবং কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী তিন দিন পদ্মা নদীর পানি বাড়তে পারে এবং সতর্কসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর কারণে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ এবং ঢাকা জেলার পদ্মা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এটি রাজধানী ঢাকার নিম্নাঞ্চল এবং সংলগ্ন এলাকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে। পাশাপাশি দেশের উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নদ-নদীর পানি বাড়ায় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে, তিস্তা, ধরলা, যমুনা এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি আরও জোরদার করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।