রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কটাক্ষের শিকার জয়া ও বাঁধন

বিনোদন ডেস্ক

আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১০:২০ এএম

বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কটাক্ষের শিকার জয়া ও বাঁধন

ছবি- সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়ে সমালোচিত হয়েছেন বাংলাদেশের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ও আজমেরী হক বাঁধন। নেটিজেনদের একাংশ তাদের এই শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি এবং তাদের 'দ্বিচারিতা' বলে কটাক্ষ করেছে।


গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন। সেই আন্দোলনের সময়ে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। অন্যদিকে, জয়া আহসানও বিভিন্ন সময় তার সামাজিক অবস্থানের জন্য পরিচিত। বর্তমানে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই অভিনেত্রীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানোকে নেটিজেনদের একটি অংশ 'রাজনৈতিক সুবিধাবাদ' হিসেবে দেখছে।

নেটিজেনদের সমালোচনার মূল কারণ হলো বাঁধনের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক অবস্থান এবং বর্তমান শ্রদ্ধা জানানো। যেখানে গত বছরের আন্দোলনে বাঁধন সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন, সেখানে তিনি কীভাবে একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাঁধন গত বছরেও ১৫ আগস্টের পোস্টে বঙ্গবন্ধুকে 'বিনম্র শ্রদ্ধা' জানিয়েছিলেন, এবং এই বছরেও একই পোস্ট করেছেন। একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, "এতই যদি শ্রদ্ধা থাকত, তবে এই দেশটাকে এভাবে ধ্বংসের মুখে ফেলতেন না।" অনেকে তার এই আচরণকে 'নাটক' বলে অভিহিত করেছেন।

অপরদিকে, জয়া আহসানের পোস্ট নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। জয়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে একটি ছবি পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানান। এই ছবির ক্যাপশনেই নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হন তিনি। একজন কট্টরপন্থি নেটিজেন তাকে 'ভারতীয় এজেন্ট' বলে কটাক্ষ করেছেন, যা তার ভারতীয় চলচ্চিত্রে কাজের প্রেক্ষাপটে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

সমালোচনার মুখে জয়া আহসান বা আজমেরী হক বাঁধন কেউই কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি। তবে জয়া ও বাঁধনের ভক্তরা তাদের সমর্থনে কথা বলেছেন। তাদের যুক্তি হলো, একজন ব্যক্তি তার রাজনৈতিক বিশ্বাস ও জাতির প্রতিষ্ঠাতার প্রতি শ্রদ্ধার মধ্যে পার্থক্য রাখতে পারেন। তাদের মতে, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন নয়, বরং একজন জাতির স্থপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন।