আগস্ট ১৭, ২০২৫, ১০:২০ এএম
মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি সাধারণ ঝড় থেকে অতি শক্তিশালী ক্যাটাগরি-৫ হ্যারিকেনে রূপ নিয়েছে ‘হ্যারিকেন অ্যারিন’। এর বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার, এবং আরও শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই ঝড় যুক্তরাষ্ট্রের পুরো পূর্ব উপকূলে প্রাণঘাতী ঢেউ ও আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এটি ২০২৫ সালের আটলান্টিক মৌসুমের প্রথম হ্যারিকেন। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক গুরুত্ব পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টারের পরিচালক মাইক ব্রেনান বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঝড়টি রাতারাতি “অত্যন্ত শক্তিশালী” হয়ে উঠেছে এবং “বিস্ফোরকভাবে গভীর ও তীব্র” আকার ধারণ করেছে। এর আগে এটি একটি সাধারণ ট্রপিক্যাল স্টর্ম ছিল। বর্তমানে হ্যারিকেন অ্যারিন ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থান করছে এবং লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ, ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ও পুয়ের্তো রিকোর উত্তর দিক দিয়ে অতিক্রম করার পূর্বাভাস রয়েছে।
এই ঝড়ের প্রভাবে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে, যা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। মাইক ব্রেনান সতর্ক করেছেন যে, ঝড়ের কারণে ফ্লোরিডা এবং মিড-অ্যাটলান্টিক অঙ্গরাজ্যগুলোতে ঢেউ সবচেয়ে বিপজ্জনক হবে। বারমুডাতেও ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রাণঘাতী ঢেউয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ড ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ এবং পুয়ের্তো রিকোর বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
মার্কিন জাতীয় মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডল প্রশাসন (এনওএএ) জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্যাটাগরি-৪ ও ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার শক্তিশালী ঝড়ের সংখ্যা বাড়ছে। হ্যারিকেন অ্যারিন সেই প্রবণতারই একটি উদাহরণ। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে সরাসরি আঘাত হানার পূর্বাভাস না থাকলেও, উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।