মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির কথা ভাবছে পর্তুগাল

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির কথা ভাবছে পর্তুগাল

ছবি- সংগৃহীত

গাজা সংকট এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে জনমত বাড়ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে, যা ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার ঘোষণাটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলছে।

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও সংসদের সঙ্গে আলোচনা করবে পর্তুগালের সরকার—বৃহস্পতিবার এমন ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

ঘোষণায় বলা হয়, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া বিবেচনায় রয়েছে এবং এ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সময়।

ইতিমধ্যেই ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা এই বছরের শেষ নাগাদ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—গাজা সংকটে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানো এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে পুনরুজ্জীবিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমা এই দেশগুলো।

অন্যদিকে, ইউরোপে ফিলিস্তিন স্বীকৃতির পক্ষে জনমত বাড়লেও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াডেফুল বলেছেন, এখনই স্বীকৃতি দেওয়াটা সময়ের আগেই হয়ে যাবে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করা উচিত। এক বিবৃতিতে ওয়াডেফুল বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমঝোতা হচ্ছে একমাত্র পথ, যা দুইপক্ষের মানুষকে শান্তি, নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার সুযোগ দিতে পারে।

এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পশ্চিমা দেশগুলোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৃহস্পতিবার ফক্স রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ দেশগুলোর কারোরই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষমতা নেই। রুবিও আরও বলেন, ইসরাইল সম্মতি না দিলে কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। তারা (পশ্চিমা দেশগুলো) বলতে পারে না সেই রাষ্ট্র কোথায় হবে, কে সেখানে শাসন করবে—তারা কোনো স্পষ্ট রূপরেখাও দিতে পারে না।