মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

কাজাখস্তানে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করল রাশিয়া

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৯, ২০২৫, ১২:১৬ পিএম

কাজাখস্তানে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করল রাশিয়া

ছবি- সংগৃহীত

কাজাখস্তান, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ইউরেনিয়াম উৎপাদনকারী দেশ হলেও, অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, মধ্য এশিয়ার এই কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা 'রোসাটম' কাজ শুরু করেছে। এই পদক্ষেপটি শুধু কাজাখস্তানের জ্বালানি নিরাপত্তাই নিশ্চিত করবে না, বরং মধ্য এশিয়ায় রাশিয়া, চীন এবং ইউরোপের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতাকেও আরও তীব্র করবে।

রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম উৎপাদনকারী দেশ কাজাখস্তানে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এটি মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় মস্কোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) এএফপি জানিয়েছে, দুই দেশের পরমাণু সংস্থার যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

 কাজাখস্তান ও রাশিয়ার পরমাণু সংস্থা জানিয়েছে, এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ এবং প্রকল্পের নথি প্রস্তুতির জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভে শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি কাজাখস্তানের বালখাশ লেকের তীরে অর্ধ-পরিত্যক্ত উলকেন গ্রামের কাছে নির্মিত হবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রোসাটম এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

কাজাখস্তানের পরমাণু সংস্থার প্রধান আলমাস আদম সাতকালিয়েভ বলেন, এটি দেশের কৌশলগত সিদ্ধান্ত এবং এই প্রকল্পটি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হবে।

দীর্ঘদিন ধরে কাজাখস্তানে রাশিয়ার প্রভাব বজায় রয়েছে। তবে চীন তাদের 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ'-এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করে এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কাজাখস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চীনও দেশটিতে আরও দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রস্তুত রয়েছে।

কাজাখস্তানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে কিছু সংবেদনশীলতা রয়েছে, কারণ সোভিয়েত আমলে পারমাণবিক পরীক্ষার ফলে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তেজস্ক্রিয়তায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে রোসাটম জানিয়েছে, নতুন চুল্লির আয়ুষ্কাল হবে ৬০ বছর, যা প্রয়োজনে আরও ২০ বছর বাড়ানো যেতে পারে।