আগস্ট ৭, ২০২৫, ১২:১০ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়াতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি চাপের মুখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে অ্যাপল দেশটিতে চার বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প বেশ কিছুদিন ধরেই অ্যাপলকে আইফোন উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে আনতে চাপ দিচ্ছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, অ্যাপল যদি উৎপাদন না সরায়, তাহলে তাদের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, অ্যাপল দেশজ সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাপক ব্যয় করবে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ডেটা সেন্টার তৈরি এবং কেন্টাকির হ্যারিসবার্গে স্মার্ট গ্লাস উৎপাদন লাইন গড়ে তোলা হবে। এই উদ্যোগের ফলে চিপ ও সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নির্ধারিত ১০০ শতাংশ শুল্ক এড়াতে পারবে অ্যাপল।
ট্রাম্প একই সঙ্গে জানান, অন্য কোম্পানিগুলোকেও একই সুবিধা পেতে হলে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে, অ্যাপলের প্রধান টিম কুক বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিনিয়োগ ইতোমধ্যেই ফল দিচ্ছে এবং নতুন তহবিলের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত অ্যাপল পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এখানেই উৎপাদিত হবে।” তিনি ট্রাম্পকে একটি কাচের ভাস্কর্যও উপহার দেন, যা ওভাল অফিসের রেজলিউট ডেস্কে তৈরি করা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যাপলের সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন একদিনে সম্ভব নয়, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে এই ঘোষণা সহায়ক হতে পারে। এই ঘোষণার পরদিনই অ্যাপলের শেয়ারের দাম ৫ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, অ্যাপলের এই অঙ্গীকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির সাফল্যের প্রমাণ, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ।
বিবিসি জানিয়েছে, অ্যাপলের বেশিরভাগ পণ্য এখনো চীনে তৈরি হয়। তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া নতুন শুল্কযুদ্ধের কারণে প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করছে। এখন ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে পণ্য এনে শুল্ক কমানোর চেষ্টা করছে অ্যাপল।