আগস্ট ৬, ২০২৫, ১১:০৫ পিএম
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সরবরাহ সংকটের আশঙ্কায় বুধবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরোপিত শুল্কের হুমকিতে বাজার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৮.১২ ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের দিনের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৬৫.৫৯ ডলার হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলের বাজারে এই আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো, রাশিয়ার তেল আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শুল্ক আরোপের চাপ। যদি ভারত ও চীনের মতো বড় আমদানিকারক দেশগুলো রুশ তেল কেনা কমিয়ে দেয়, তাহলে বিশ্ববাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে ওপেক প্লাস জোট উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ায় তেলের দাম কিছুটা কমেছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সংক্রান্ত নতুন পদক্ষেপ সেই নিম্নমুখী প্রবণতাকে উল্টো দিকে ঠেলে দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, যদি শুধু ভারত রুশ তেল কেনা বন্ধ করে, তাহলে বাজার তা সামলে নিতে পারবে। কিন্তু একাধিক বড় ক্রেতা একইসঙ্গে কেনা বন্ধ করলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা এখন ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছেন। যদি ভারত রুশ তেল আমদানি কমায়, তাহলে সরবরাহ সংকট আরও তীব্র হবে। অন্যথায়, আগস্টের বাকি সময় ডব্লিউটিআই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।