আগস্ট ২, ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
ইসরায়েলের শীর্ষ জেনারেল সতর্ক করে বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জিম্মি ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তির জন্য আলোচনা ব্যর্থ হলে গাজায় যুদ্ধে কোনো বিরতি আসবে না।
সেনাবাহিনীর দেওয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির বলেছেন, "আমি ধারণা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা জানতে পারব আমাদের জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছনো সম্ভব কি না।"
তিনি আরও বলেন, "যদি তা না হয়, তাহলে লড়াই চলবে বিরতিহীনভাবে।" গাজার ভেতরে গতকাল শুক্রবার (১ আগস্ট) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যে ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে জামিরকে একটি কমান্ড সেন্টারে সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেখা যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের হামলার সময় ইসরায়েল থেকে মোট ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এখনো ৪৯ জন গাজায় রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৭ জন ইতিমধ্যে মারা গেছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
এদিকে চলতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে জিম্মিদের অত্যন্ত ক্ষীণ ও দুর্বল অবস্থায় দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে যে আলোচনা চলছিল, তা গত মাসে ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে ইসরায়েলে আরও কঠোর সামরিক পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে ২২ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ আবার শুরু করার জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণভাবে, বিশেষ করে অনেক জিম্মির পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার জনগণ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে, যা ইসরায়েলের ত্রাণ সরবরাহে আরোপিত বিধি-নিষেধের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেনাপ্রধান জামির এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, "ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখার মিথ্যা অভিযোগের বর্তমান প্রচারণা একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সময়নির্ধারিত ও প্রতারণামূলক প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে আইডিএফের (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) মতো একটি নৈতিক বাহিনীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের মৃত্যুর জন্য ও তাদের দুর্ভোগের জন্য দায়ী হচ্ছে হামাস।"