আগস্ট ৯, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ইসরায়েলের গাজায় সামরিক অভিযান এবং পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, সৌদি আরব ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ হিসেবে সৌদি আরবের এই অবস্থান গাজা সংঘাতের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলেছে। একই সঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগকে আরও স্পষ্ট করেছে।
ইসরায়েলের গাজা উপত্যকা দখলের পরিকল্পনার কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এর তীব্র সমালোচনা করছে।
রিয়াদ অভিযোগ করে, ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজায় ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখা, নৃশংস আচরণ এবং জাতিগত নিধনের মতো অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপ মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। একই ধরনের পরিকল্পনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে 'যুদ্ধাপরাধ' হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সৌদি আরবের এই প্রতিক্রিয়া এমন এক সময়ে এসেছে যখন আন্তর্জাতিক মহল ইসরায়েলের গাজায় পূর্ণ দখল পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক এই পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের রায়ের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে এই পদক্ষেপ ক্ষুণ্ন করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইরাক সরকারও ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে তাদের আইনি ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে।