আগস্ট ৯, ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও গণহত্যায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, ভারতের মানবাধিকারকর্মীরা তাদের দেশের সরকারের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, ভারতের কয়েকটি কোম্পানি ইসরায়েলকে অস্ত্র উপাদান সরবরাহ করছে, যা ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান নৃশংসতায় মদদ দিচ্ছে। এই প্রতিবেদনটি ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিতর্ক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে।
ভারতের মানবাধিকারকর্মীরা দেশটির সরকার ও সংসদ সদস্যদের প্রতি অবিলম্বে ইসরায়েলে সব ধরনের অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের সতর্কবার্তা, গাজায় চলমান গণহত্যার জন্য ভারতের কয়েকটি কোম্পানি আর্থিক মুনাফা করছে।
বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন বেঙ্গালুরু ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস (বিএফজেপি) সংসদ সদস্যদের কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে জানায়, বেঙ্গালুরুর অন্তত নয়টি প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলের প্রধান অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র উপাদান সরবরাহ করছে। মিডল ইস্ট আই-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর সাসমস এইচইটি টেকনোলজিস লিমিটেড প্রায় ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র উপাদান ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে।
বিএফজেপি বলছে, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও সাংবিধানিক নীতির পরিপন্থী, বিশেষ করে যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 'সম্ভাব্য গণহত্যা'র রায় দিয়েছে।
জার্মানি ইতিমধ্যেই ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করেছে। ভারতীয় মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, দিল্লিকেও এই পথ অনুসরণ করা উচিত। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত-ইসরায়েল বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে এবং এটি এখন 'কৌশলগত অংশীদারত্ব'-এ পরিণত হয়েছে। বিশিষ্ট লেখক অরুন্ধতী রায় সহ একদল বিশিষ্ট ব্যক্তি গত বছরও ভারত সরকারকে একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধে ভারতের জড়িত থাকার বিরুদ্ধে তারা জনসচেতনতা ও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।