আগস্ট ৯, ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনব্যাপী তীব্র সামরিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময় উভয় দেশই একে অপরের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। সম্প্রতি, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধানের একটি নতুন দাবিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে আবার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান এই দাবিকে মিথ্যাচার বলে অভিহিত করেছে এবং এর প্রমাণ দিতে ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এই ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উত্তেজনাকে আবারও সামনে এনেছে।
মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সামরিক সংঘর্ষে উভয় দেশের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং দাবি করেছেন যে, তাদের সেনারা 'অপারেশন সিঁদুর' চলাকালীন পাকিস্তানের ছয়টি বিমান ভূপাতিত করেছে। এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এটিকে 'হাস্যকর' বলে অভিহিত করেছেন এবং ভারতকে প্রমাণ করার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
খাজা আসিফ মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ লিখেছেন, "ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধানের এই দাবি কেবল অবিশ্বাস্যই নয়, বরং এর সময় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।" তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এ ধরনের মিথ্যাচার করছে। তিনি আরও দাবি করেন যে, পাকিস্তানের কোনো বিমানই ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়নি, বরং পাকিস্তান ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান, একটি এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে।
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, যদি এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে হয়, তাহলে উভয় দেশেরই উচিত তাদের যুদ্ধবিমানের তালিকা একটি নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থার কাছে তুলে ধরা। তিনি বিশ্বাস করেন, ভারত এতে রাজি হবে না, কারণ এতে তাদের সত্য গোপন করার প্রচেষ্টা সবার সামনে চলে আসবে।
খাজা আসিফ আরও উল্লেখ করেন, ভারতীয় রাজনীতিবিদদের কৌশলগত ব্যর্থতার দায়ভার এখন সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর চাপানো হচ্ছে। তিনি সতর্ক করেন যে, ক্ষণস্থায়ী রাজনৈতিক লাভের জন্য এ ধরনের মিথ্যাচার দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।