আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপের ফলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার চাপের মুখে পড়েছে। এমতাবস্থায়, জন বোল্টন মোদিকে পরামর্শ দিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার জন্য। বোল্টনের মতে, এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কারের প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ সুবিদিত, এবং এই ধরনের একটি মনোনয়ন তার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই কৌশলটি কেবল ট্রাম্পকে খুশি করার জন্য নয়, বরং এটি ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক চাল। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে পারে এবং শুল্ক নীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চাপ কিছুটা কমাতে পারে। ভারতীয় মিডিয়ার একাংশও এই পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবে দেখছে, কারণ এটি আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
অন্যদিকে, কিছু বিশ্লেষক সতর্ক করে বলছেন যে, শুল্কনীতি এখনো বহাল থাকায় এই পদক্ষেপের ফল কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদির আসন্ন মার্কিন সফর এই পুরো সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্ভাব্য বৈঠক নিয়েও ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হতে পারে।
জন বোল্টন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ট্রাম্পের নোবেল মনোনয়নের পক্ষে কথা বলেছেন। এর ফলে, যদি ভারত এই পদক্ষেপ নেয়, তবে তা কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্যই নয়, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক কূটনীতিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। শুল্কনীতির কারণে ভারতের অর্থনীতি চাপে পড়লেও, নোবেল মনোনয়নের মতো একটি কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি সমঝোতার রাস্তা তৈরি হতে পারে।