সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

তেলআবিবে ইয়েমেনি হাইপারসনিক হামলা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১০:০৫ এএম

তেলআবিবে ইয়েমেনি হাইপারসনিক হামলা

ছবি- সংগৃহীত

ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, তারা তেলআবিবের উপশহরে অবস্থিত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে 'প্যালেস্টাইন-২' নামের একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। এই হামলার জেরে বিমানবন্দরটির সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে এবং লাখ লাখ ইসরাইলি ভয়ে ও আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি রোববার (১৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি দাবি করেন, এই অভিযান সফল হয়েছে এবং এর ফলে লাখ লাখ জায়নিস্ট (ইসরাইলি) নাগরিককে আশ্রয়কেন্দ্রে পালাতে হয়েছে।

জেনারেল সারি বলেন, এই হামলা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং গাজার বাসিন্দাদের ওপর ইসরাইলের গণহত্যা ও অনাহারে মৃত্যুর মতো অপরাধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে চালানো হয়েছে। পাশাপাশি এটি ইয়েমেনের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসনেরও জবাব। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হয় এবং অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

ইয়েমেনের এই সামরিক পদক্ষেপ এমন এক সময়ে আসলো, যখন গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে মানবিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। গাজায় গত দুই বছরে ইসরাইলি হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছে। জেনারেল সারি এই নীরব গণহত্যা এবং আরব ও মুসলিম বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তার তীব্র সমালোচনা করেন।

ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনো এই হামলার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে, এই ধরনের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যদি সত্যিই সফল হয়ে থাকে, তাহলে তা ইসরাইলের জন্য একটি বড় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচিত হবে।