আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের পর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর এক আলোচনা সভায় তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, যদি ভারত 'অবৈধ বাংলাদেশি'দের বিতাড়ন করতে চায়, তবে কেন শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া হলো? তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, "বিতাড়ন শুরু হোক তাকেই দিয়ে।"
ওয়েইসি'র এই মন্তব্য ভারতের শাসক দলের 'দ্বৈত নীতি'কে সামনে এনেছে। এক বছর ধরে বাংলাদেশ সীমান্তে দরিদ্র বাংলাভাষী মুসলিমদের 'অবৈধ অনুপ্রবেশকারী' বলে পুশব্যাক করা হচ্ছে। একই সময়ে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার একাধিকবার চিঠি দিয়েও শেখ হাসিনাকে ফেরত পায়নি। ওয়েইসি এই বৈপরীত্যের দিকে আঙুল তুলে বলেন, "গরিব মুসলমানদের বাংলাদেশি বলে ঠেলে দিচ্ছেন, অথচ শেখ হাসিনাকে নিরাপদে রেখেছেন—এটা দ্বিচারিতা।"
গত এক বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা ধরনের টানাপোড়েন লক্ষ্য করা গেছে। সীমান্ত হত্যা, পুশব্যাক, এবং বাণিজ্যে হঠাৎ করে কঠোরতা বাড়ানোর মতো ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে, চিকিৎসা ও পর্যটক ভিসার ক্ষেত্রে ভারতের কঠোরতা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২৫ থেকে ২৮ আগস্ট ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বৈঠকে সীমান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ওয়েইসির মন্তব্য রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করলেও, সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য এই ধরনের বৈঠকই সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ।