আগস্ট ৩০, ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন শিশুও রয়েছে। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাতে রামবান এবং রিয়াসি জেলায় ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রবল বর্ষণ, বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে অসংখ্য বাড়িঘর এবং সেতু ভেঙে গেছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই মাসের শুরুতে ভূমিধসের ফলে জম্মুর ঐতিহাসিক বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের যাত্রাপথে ৪১ জন তীর্থযাত্রী প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাত অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গত বুধবার জম্মুতে ২৪ ঘণ্টায় ২৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ১৯৭৩ সালের রেকর্ডের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। একই সময়ে উদমপুরে ৬২৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে বন্যা ও ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ও সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের বর্ষা মৌসুমে এ ধরনের দুর্যোগ ঘটে থাকে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে আরও মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এর আগে আগস্ট মাসের ১৪ তারিখে কাশ্মীরের চিসোটি গ্রামে বন্যায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। একই মাসের ৫ তারিখে উত্তরাখণ্ডের ধারালি শহরে বন্যার কারণে শহরটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়।