আগস্ট ৩০, ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
গাজায় ইসরাইলের চলমান হামলার প্রতিবাদে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ছিন্ন করেছে তুরস্ক। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জাতীয় সংসদে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, তুরস্কের বন্দরগুলোতে এখন থেকে কোনো ইসরাইলি জাহাজ ভিড়তে পারবে না, এবং তুরস্কের পতাকাবাহী কোনো জাহাজও ইসরাইলের কোনো বন্দরে যাবে না। এছাড়াও, ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহনকারী কোনো জাহাজ বা বিমানকেও তুরস্কের আকাশসীমা বা বন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞাটি মূলত সরকারি ইসরাইলি ফ্লাইট এবং সামরিক সরঞ্জাম বহনকারী বিমানের জন্য প্রযোজ্য। সাধারণ বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। এছাড়াও তুর্কি বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন শিপিং এজেন্টদের কাছ থেকে এই মর্মে নিশ্চয়তা নিচ্ছে যে কোনো জাহাজ ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত নয় এবং কোনো সামরিক বা বিপজ্জনক মালামাল বহন করছে না।
এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জেরুজালেম পোস্টকে জানান, তুরস্ক এর আগেও বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিলেও বাস্তবে বাণিজ্য চলছিল।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলের হামলার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। তুরস্ক ইসরাইলকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে, যদিও ইসরাইল এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে 'গাজার কসাই' বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার অপরাধের সঙ্গে হিটলারের কর্মকাণ্ডের তুলনা করেছিলেন।
২০২৩ সালে তুরস্ক ইসরাইল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২০২৪ সালে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে তুরস্ক ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জটিল হয়েছে।