মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ জবাবে যা বলল হামাস

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম

ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ জবাবে যা বলল হামাস

ছবি - সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির এক প্রস্তাবের শর্ত মেনে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েল তাঁর প্রস্তাব মেনে নিয়েছে এবং এখন হামাসের পালা। শর্ত না মানলে কী পরিণতি হবে, তা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন এই ফিলিস্তিনি সংগঠনকে।রবিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, ‘ইসরায়েলিরা আমার শর্তগুলো মেনে নিয়েছে। এখন হামাসের পালা। আমি তাদের সতর্ক করেছি—এটাই আমার শেষ সতর্কবার্তা।’

ট্রাম্প তার প্রস্তাবের নির্দিষ্ট শর্তগুলো প্রকাশ না করলেও ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রস্তাব অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই গাজায় বন্দি সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল কারাগারে বন্দি হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় হামলা বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে স্থায়ী সংঘাত-নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হবে। ইসরায়েলি তথ্যমতে, বর্তমানে গাজায় প্রায় ৫০ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে আনুমানিক ২০ জন জীবিত।

ট্রাম্পের এই বার্তার পর হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন বন্ধের যেকোনো উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। গাজায় বন্দি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসতে আমরা প্রস্তুত। তবে এর জন্য গাজায় হামলা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে, সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং গাজার ভবিষ্যৎ পরিচালনার জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিনিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে।”

প্রসঙ্গত, ২৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিকবার আলোচনা হলেও তা কার্যকর হয়নি। এর মধ্যেই ইসরায়েল গত মাস থেকে গাজা নগরী দখলে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই সংঘাত “চূড়ান্তভাবে শেষ” হবে। তিনি ক্ষমতায় বসার পর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় “মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম বিনোদনকেন্দ্র” গড়ার পরিকল্পনার কথাও বলেন।