বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

জিপিএস ব্যবহারে ভয় পাচ্ছে ইরান

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১২:০১ পিএম

জিপিএস ব্যবহারে ভয় পাচ্ছে ইরান

ছবি - সংগৃহীত

ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর বিদেশি গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) অনিরাপদ মনে করছে ইরান। এই আশঙ্কার কারণে দেশটি এখন নিজস্ব জাতীয় স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক তৈরির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। ইরানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ওয়াহিদ ইয়াজদানিয়ান মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন।

ইরান ইন্টারন্যাশনালের খবর অনুযায়ী, ইয়াজদানিয়ান বলেন, বিদেশি জিপিএস সিস্টেমগুলো নিরাপদ নয় এবং বিদেশি সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভরতা কমাতে ইরানকে নিজস্ব স্যাটেলাইট নেভিগেশন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, ইরানের অভ্যন্তরীণ জিপিএস বিভ্রাটের মূল কারণ হলো দেশীয় নেভিগেশন স্যাটেলাইটের অভাব।

ইয়াজদানিয়ানের মতে, কোনো বৈশ্বিক নেভিগেশন সিস্টেম সম্পূর্ণ নিরাপদ হতে পারে না। নগর পরিবহন থেকে শুরু করে ট্রেন, জাহাজ ও বিমানের নেভিগেশন অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে একটি দেশীয় স্যাটেলাইট নেভিগেশন নক্ষত্রমণ্ডল তৈরি করা চূড়ান্ত সমাধান।

এদিকে, ইরান তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহাকাশ কর্মসূচি নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইরানি মহাকাশ সংস্থার প্রধান এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন, তেহরান ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে চারটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত চাবাহারে একটি নতুন মহাকাশ বন্দরের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করছে।

পরিকল্পিত উৎক্ষেপণের মধ্যে রয়েছে জাফর, পায়া এবং কাউসার আর্থ পর্যবেক্ষণ উপগ্রহের দ্বিতীয় মডেল, যা কৃষি ও পরিবেশগত পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে। এছাড়া সোলেইমানি ন্যারোব্যান্ড যোগাযোগ নক্ষত্রপুঞ্জের পরীক্ষামূলক ইউনিটও উৎক্ষেপণ করা হবে।

পশ্চিমা দেশগুলো বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ইরানের উপগ্রহ কর্মসূচি তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার হাতিয়ার হতে পারে। তবে তেহরান সবসময়ই বলে আসছে যে, তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর কোনো সামরিক ব্যবহার নেই।