সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
মানব পাচারের এক অদ্ভুত কৌশল উদ্ঘাটন করেছে জাপানি কর্তৃপক্ষ। ফুটবল খেলোয়াড় সেজে জাপানে অবৈধভাবে প্রবেশ করার চেষ্টাকালে ২২ পাকিস্তানিকে সেদেশের বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। জাল নথি ধরা পড়ায় তাদের এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) জানিয়েছে, শিয়ালকোট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই দলটি 'গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল' নামের একটি ভুয়া ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে জাপানে গিয়েছিল। কিন্তু জাপানে পৌঁছানোর পর তাদের কাগজপত্র জাল প্রমাণিত হয়।
জানা গেছে, এই চক্রের মূল হোতা মালিক ওয়াকাস। তিনি নকল ক্লাব তৈরি করে ভুয়া খেলোয়াড়দের কিছুদিন প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এই কাজের জন্য প্রতিটি ব্যক্তির কাছ থেকে ৪০ লাখ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ১৩ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার) নেওয়া হয়েছিল।
এমনকি, নকল নথিতে ভুয়া সেই ক্লাবটি কবে, কখন এবং কার বিপক্ষে জাপানে খেলবে, তার বিস্তারিত বিবরণও উল্লেখ করা হয়েছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানি কর্তৃপক্ষ দ্রুতই তাদের ভুয়া নিবন্ধন সনদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাল ছাড়পত্রসহ বেশ কিছু অসংগতি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এরপর সবাইকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর মালিক ওয়াকাসকে গ্রেপ্তার করে গুজরানওয়ালা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের কাছে ওয়াকাস জানিয়েছেন, তিনি একই কৌশলে এর আগেও কাজ করেছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও তিনি ১৭ জনকে এই পদ্ধতিতে জাপানে পাঠিয়েছিলেন।
তার কাছ থেকে জাল নথিপত্র এবং ফুটবল ফেডারেশনের ভুয়া লেটারহেডসহ বিভিন্ন প্রমাণ জব্দ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়ার কারণে পাচারকারীরা এখন বিমানযাত্রা এবং এমন অভিনব ছদ্মবেশে মানব পাচারের চেষ্টা করছে।