সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ইরানের মৃত পরমাণু বিজ্ঞানীরা হেঁটে বেড়াচ্ছেন : ইসরায়েল

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৮:২২ পিএম

ইরানের মৃত পরমাণু বিজ্ঞানীরা হেঁটে বেড়াচ্ছেন : ইসরায়েল

ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক উত্তেজনা সম্প্রতি চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি ইসরায়েলের ১২ দিনের বিমান হামলায় ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই হামলার পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আসা এক মন্তব্য বিশ্বজুড়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি ইসরায়েলের ১২ দিনের বিমান হামলায় ইরানের শতাধিক পরমাণু বিজ্ঞানীকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এই হামলার পর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য এসেছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিহত বিজ্ঞানীদের স্থলাভিষিক্তরা ‘মারা যাওয়া মানুষের হাঁটাহাঁটি’র মতো কাজ করছেন। তাদের মতে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে যুক্ত থাকা নতুন গবেষকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত জোরদার করা হয়েছে।

সিনিয়র এক ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের তালিকাভুক্ত শতাধিক বিজ্ঞানীর মধ্যে ১৫ জনের বেশি এখনও জীবিত আছেন এবং তারা তেহরানের নিরাপদ স্থানে আত্মগোপন করে আছেন। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় তারা তাদের বাড়ি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছেন। এদের পরিবারসহ তেহরানের সুরক্ষিত ভিলা এবং দেশের উত্তর উপকূলের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএসবিএস নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বি-২ বোমারু বিমান ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এই বিমানগুলোয় অত্যন্ত শক্তিশালী ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা ছিল। এছাড়া, নাটানজ ও ইসফাহান নামের আরও দুটি পরমাণু স্থাপনাতেও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে, এই হামলার পর আশেপাশের এলাকায় কোনো অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তা দেখা যায়নি। যদিও ইরান হামলার সত্যতা স্বীকার করেছে, তবে তারা দাবি করেছে যে, এই হামলা তাদের পরমাণু উন্নয়নে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার দাবি করেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি দুই বছর পিছিয়ে গেছে। তবে ইরান এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরানের পার্লামেন্ট সদস্য মাহদী মোহাম্মাদি বলেছেন, “ইরানের দৃষ্টিকোণ থেকে অপ্রত্যাশিত কিছুই ঘটেনি। তারা কয়েক রাত ধরে ফোর্ডো সাইটে হামলার প্রত্যাশায় ছিলেন এবং সেখানকার কর্মীরা আগেই সরে গিয়েছিল। তাই মারাত্মক কোনো ক্ষতি হয়নি।”