সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদার কিছু দেশ শিল্প রফতানি খাতে শুল্ক ছাড় পাবে। এই সুবিধা নিকেল, স্বর্ণ, ওষুধ এবং রাসায়নিক দ্রব্যসহ ৪৫টিরও বেশি পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে আজ সোমবার থেকে। সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম্পের এই আদেশ তার পূর্ববর্তী কঠোর বাণিজ্য নীতির থেকে কিছুটা ভিন্ন। এর আগে তিনি বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে এবং মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বড় ধরনের শুল্ক বৃদ্ধি করেছিলেন। তবে তার নতুন আদেশে বলা হয়েছে, যেসব মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘রেসিপ্রোক্যাল’ বা পারস্পরিক চুক্তি করবে, তারাই এই শুল্ক ছাড়ের সুবিধা পাবে। এই চুক্তিগুলো সেকশন ২৩২ ন্যাশনাল সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী আরোপিত শুল্ককেও প্রভাবিত করবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার দিবাগত মধ্যরাত ১২:০১ মিনিট (ইস্টার্ন টাইম) থেকে এই শুল্ক ছাড় কার্যকর হয়েছে। যেসব পণ্যে এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে এমন কিছু পণ্য যা যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনযোগ্য নয় বা পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। এর মধ্যে আছে কৃষিপণ্য, বিমান ও যন্ত্রাংশ, এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের জন্য ব্যবহৃত কিছু নন-পেটেন্টেড উপাদান। এছাড়া গ্রাফাইট, বিভিন্ন ধরনের নিকেল (স্টেইনলেস স্টিল ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির জন্য গুরুত্বপূর্ণ), সাধারণ ওষুধে ব্যবহৃত যৌগ যেমন লিডোকেইন, এবং মেডিকেল টেস্টে ব্যবহৃত রিএজেন্ট এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণের আমদানিও (পাউডার, পাতলা পাত, বুলিয়ন), বিশেষ করে সুইজারল্যান্ড থেকে আসা স্বর্ণ, শুল্ক ছাড়ের আওতায় আসছে। এই পণ্যের ওপর এখনও মার্কিন শুল্ক ৩৯ ভাগ বহাল আছে। একইসাথে প্রাকৃতিক গ্রাফাইট, নিয়োডিমিয়াম ম্যাগনেট এবং এলইডি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু প্লাস্টিক ও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরুরি পলিসিলিকন আমদানিতে বিদ্যমান ছাড় বাতিল করা হয়েছে। আদেশে ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কতটা শুল্ক কমাবে তা নির্ভর করবে বাণিজ্য অংশীদার দেশটি কত বড় অঙ্গীকার করছে, মার্কিন অর্থনৈতিক স্বার্থে এর কতটা মূল্য আছে এবং জাতীয় স্বার্থ কতটা সুরক্ষিত হচ্ছে তার ওপর। নতুন আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো দেশের সাথে পারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তি করে, তবে বাণিজ্য প্রতিনিধি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কাস্টমস আলাদা কোনো প্রেসিডেন্টের আদেশ ছাড়াই ওই দেশের আমদানির ওপর শুল্ক ছাড় দিতে পারবে।