আগস্ট ১১, ২০২৫, ১১:১৫ এএম
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। এই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ আজ সোমবার (১১ আগস্ট)। খবর বিবিসির।
আলবানিজ জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অস্ত্র ত্যাগ, সাধারণ নির্বাচন আয়োজন এবং ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার ভাষ্যে, দুই রাষ্ট্র সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙার সর্বোত্তম পথ।
ইসরায়েল এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, এটি ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত’ করার শামিল। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আলবানিজ জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৮৭ শতাংশ এলাকা এরই মধ্যে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে বা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশের আওতায়। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, আরও সামরিক অগ্রগতি ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন গাজা শহরের ওপর ইসরায়েলের নতুন দখল পরিকল্পনাকে কঠোর সমালোচনা করেছে এবং তা সংঘাত ও রক্তপাত বাড়াবে বলে মনে করছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্রবিরতি, বন্দিদের মুক্তি এবং মানবিক সাহায্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে। হামাস, ইরান, সৌদি আরবসহ অনেক দেশ এই পরিকল্পনাকে জাতিগত নির্যাতন ও গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, স্পেনসহ বহু রাষ্ট্র তা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান ও ফিলিস্তিনি অধিকার লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।