আগস্ট ১, ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
বাংলাদেশের পণ্য আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এই ঘোষণার পরপরই আজ শুক্রবার (১ আগস্ট, ২০২৫) ভারতের পোশাক বাজারের শেয়ারে দরপতন হয়েছে।
গত ৮ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে আলোচনা ও দেন-দরবারের পর তিনি এই শুল্ক হার ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন, যা বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।
অন্যদিকে, ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে এবং তা বহাল রয়েছে।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই এই বাজারটি ধরার চেষ্টা করছে। প্রযুক্তি ও শ্রমের সহজলভ্যতার কারণে বাংলাদেশ বরাবরই এগিয়ে ছিল। তবে গত মাসে যখন বাংলাদেশের ওপর ট্রাম্প ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, তখন ভারতের বাজার বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে যায় এবং ওই সময় দেশটির পোশাকের বাজারের শেয়ারের দামও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু নতুন শুল্ক ঘোষণার পর চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে।
বাংলাদেশের ওপর শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই ভারতের বিভিন্ন পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানির শেয়ারে দরপতন লক্ষ্য করা গেছে:
-
কেপিআর মিলসের শেয়ার ৫ শতাংশ
-
ওয়েলসপুন লিভিংয়ের শেয়ার ২ শতাংশ
-
অলোক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ০.৮ শতাংশ
-
পিয়ার্ল গ্লোবালের শেয়ার ৩.৭ শতাংশ
-
গোকূলদাস এক্সপোর্টের শেয়ার ২.৬ শতাংশ
-
কিটেক্স গার্মেন্টসের শেয়ার ৩.২১ শতাংশ
-
বর্ধমান টেক্সটাইলের শেয়ার ২.৮ শতাংশ
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি করেছে, যার ফলে দেশটির পণ্যে ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। গত এপ্রিলে এটি ২৯ শতাংশ ছিল। এছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে তেল অন্বেষণেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ শুল্ক পরিবর্তনে দেখা গেছে, ৫০টিরও বেশি দেশের শুল্ক আগের তুলনায় কমানো হয়েছে। যার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো রয়েছে। এই অঞ্চলের মধ্যে শুধুমাত্র ব্যতিক্রম ভারত, যেখানে দেশটির ওপর পূর্বে ঘোষিত ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে।