মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

রাহুল গান্ধীকে ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

রাহুল গান্ধীকে ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ

ছবি- সংগৃহীত

ভারতের রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রায়ই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা যায়। সম্প্রতি বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় পর্যালোচনার (এসআইআর) বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এর প্রতিবাদ জানাতে আজ দিল্লির সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে মিছিলের ডাক দেয় বিরোধী দলগুলোর জোট 'ইন্ডিয়া'। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির রাজনীতি, যেখানে পুলিশ ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে এক নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়।

ভোটার তালিকার নিবিড় পর্যালোচনার (এসআইআর) প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল করার সময় দিল্লি পুলিশ রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের আটক করে। পরে অবশ্য আটক সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংসদ ভবনে জড়ো হয়ে বিরোধী দলের সব সংসদ সদস্য মিছিল শুরু করেন। সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বিরোধী এমপিরা বিহারের ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে স্পিকার ও ডেপুটি চেয়ারম্যান তা মানতে অস্বীকার করেন। এর জেরে বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে বেলা দুইটা পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়। এরপরই বিরোধীরা একজোট হয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে মিছিল শুরু করেন।

বিভিন্ন ভাষায় লেখা পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে, শারদ পাওয়ার, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র, অখিলেশ যাদব, মহুয়া মৈত্র, ডেরেক ওব্রায়ান, শশী থারুরসহ দুই শতাধিক সদস্যের এই মিছিলে অংশ নেন। সংসদ ভবন থেকে বেরোনোর পর সংসদ মার্গে তাদের আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। মিছিলে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে প্রিয়াঙ্কাসহ নারী সদস্যরা রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ও মিতালি বাগ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইসি দপ্তর অভিযানের জন্য বিরোধী সংসদ সদস্যরা আগাম কোনো অনুমতি নেননি। তবে বিরোধী এমপিদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের হেনস্তা করেছে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দিয়েছে।

আটকের পর রাহুল গান্ধী বলেন, “এটা সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরির লড়াই।” তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র না বাঁচলে সংবিধানও বাঁচানো যাবে না। গণতন্ত্র বাঁচাতে গেলে ইসির পক্ষপাত বন্ধ করতে হবে।”

আটকের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে 'এক্স' হ্যান্ডেলে লেখেন, তারা ইসিতে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু দিল্লি পুলিশ তাদের সেই গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে।