সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

সতীনকে নিজের লিভার দিয়ে বাঁচালেন নারী

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম

সতীনকে নিজের লিভার দিয়ে বাঁচালেন নারী

ছবি- সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল সমাজগুলোতে বহুবিবাহ একটি সাধারণ বিষয় হলেও, দুই স্ত্রীর মধ্যে সতীনের সম্পর্ক সাধারণত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে থাকে। কিন্তু সৌদি আরবের এক নারীর এই ধরনের সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিজের সতীনের জীবন বাঁচাতে তিনি নিজের লিভারের একটি অংশ দান করে এক বিরল মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই ঘটনাটি শুধু সৌদি আরব নয়, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। এটি প্রমাণ করে যে, ভালোবাসা এবং ত্যাগের কোনো সীমানা নেই।

সৌদি আরবের এক নারী তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিজের লিভারের ৮০ শতাংশ দান করে তার জীবন বাঁচিয়ে এক বিরল মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম ‘ওকাজ’ এর বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা সৌদি গ্যাজেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাজেদ বালদাহ আল-রোকি নামে এক ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী তাগরিদ আওয়াদ আল-সাদি বেশ কয়েক বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। তার কষ্ট লাঘবে স্বামী মাজেদ নিজেই তাকে একটি কিডনি দিয়ে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু মাজেদ যখন এই বিষয়ে তার প্রথম স্ত্রী নৌরা সালেম আল-সামারির সঙ্গে কথা বলেন, তখন তিনি এক অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব দেন। নৌরা জানান, তিনি নিজের লিভারের ৮০ শতাংশ তাগরিদকে দান করবেন। মাজেদ বলেন, "আমি অবাক হয়েছিলাম। নৌরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য।"

চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুজনের টিস্যু সামঞ্জস্যপূর্ণ নিশ্চিত হলে সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। নৌরা-এর এই স্বার্থহীন এবং মানবিক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্থানীয় মানুষ। এই ঘটনাটি সৌদি আরবের সমাজে মানবিকতা ও ত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।