আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই সংঘাতে আন্তর্জাতিক মহলের বিভিন্ন দেশ জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সুদানের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা আরএসএফ-এর জন্য অস্ত্র ও ভাড়াটে সেনা বহনকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি সামরিক কার্গো বিমানে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।
গৃহযুদ্ধকবলিত দেশ সুদানের দারফুরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি সামরিক কার্গো বিমানে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে বিমানের চালক এবং বিমানে থাকা ৪০ জন কলম্বিয়ান ভাড়াটে সেনার সবাই নিহত হয়েছেন। সুদানের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার দারফুরের নায়লা বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, বিমানটি রানওয়েতে অবতরণের পরপরই সেটিকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। বিমানটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং কোনো আরোহীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে সুদানে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-এর মধ্যে সংঘাত চলছে। সুদানের সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, সংযুক্ত আরব আমিরাত আরএসএফকে অস্ত্র, অর্থ ও ভাড়াটে সেনা দিয়ে সহায়তা করছে। ধ্বংস হওয়া বিমানটি পারস্য উপসাগরে আমিরাতের একটি নৌঘাঁটি থেকে রওনা হয়েছিল এবং এটিতে আরএসএফ-এর জন্য সামরিক সরঞ্জাম ও ভাড়াটে সেনারা ছিলেন।
সুদানের সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই কলম্বিয়ান ভাড়াটে সেনাদের আরএসএফ-এর পক্ষে যুদ্ধ করার অভিযোগ করে আসছে। জাতিসংঘও সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সুদানের গৃহযুদ্ধে কলম্বিয়ান ভাড়াটে সেনাদের উপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আরএসএফ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে নিহত সেনাদের মরদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।