আগস্ট ১১, ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম
স্পেনের কর্ডোভায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদ-ক্যাথেড্রাল অগ্নিকাণ্ডের পর পুনরায় সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। নগরীর মেয়র জানিয়েছেন, আগুনে স্থাপনাটির ক্ষতি সীমিত আকারে হয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট, ২০২৫) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া স্পষ্ট দেখা যায়। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ পর্যটক এই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী ইসলামী স্থাপত্যকীর্তি পরিদর্শনে আসেন।
মেয়র হোসে মারিয়া বেলিদো স্প্যানিশ পাবলিক টেলিভিশনকে জানান, আগুন পুরো মসজিদ-ক্যাথেড্রাল ধ্বংস করে দিতে পারত, তবে ক্ষয়ক্ষতি মূলত একটি চ্যাপেলে সীমাবদ্ধ ছিল। সেখানে ছাদ সম্পূর্ণ ধসে পড়ে এবং আশপাশের দুটি চ্যাপেলে ধোঁয়ার কারণে বেদি ও শিল্পকর্ম আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোট প্রায় ৫০-৬০ বর্গমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এএফপির এক আলোকচিত্রী জানান, ভবনটি দেখতে জড়ো হওয়া মানুষের ভিড়ের পাশেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল অগ্নিনির্বাপক ও পুলিশ বাহিনীর গাড়ি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ‘আলমানজর নেভ’ অংশটি কোমর-উচ্চতার ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
কর্ডোভার দমকল প্রধান ড্যানিয়েল মুনিওজ জানান, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। আগুন নেভাতে ৩৫ জন দমকলকর্মী রাতভর কাজ করেন। তিনি আরও জানান, ২০০১ সালের অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে প্রতিবছর অগ্নিনির্বাপণ মহড়া আয়োজন করা হয়, যা এবার আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রেখেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, একটি যান্ত্রিক ঝাড়ু মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এই স্থাপনাটি অষ্টম থেকে দশম শতাব্দীতে মুসলিম উমায়্যাদ শাসক আবদ আর-রহমান নির্মাণ করেন। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে খ্রিষ্টান শাসক ফেরদিনান্দ তৃতীয়ের অধীনে স্পেন পুনর্দখলের পর এটি ক্যাথেড্রালে রূপান্তরিত হয়। পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে স্থাপনাটিতে নানা আর্কিটেকচারাল পরিবর্তন আনা হয়। ১৯৮৪ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়।