আগস্ট ৯, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আদালতের রায় এবং বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রায়শই আলোচনা হয়। সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো ঘটনা, যেখানে কোনো আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সাজা দিয়েছেন। এই রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা এবং ভিকটিম ও সাক্ষীদের হুমকির বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা দেশের বিচার ব্যবস্থায় নতুন দিকনির্দেশনা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ভিকটিম, সাক্ষী এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়া বিচার বাধাগ্রস্ত করার শামিল। আদালত অবমাননার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। প্রসিকিউশন সূত্র শনিবার (৯ আগস্ট) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ২ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে আদালত অবমাননার দায়ে যথাক্রমে ছয় মাস ও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা, মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো এবং হুমকি দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আইনে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম কোনো মামলায় শেখ হাসিনাকে সাজা দিলেন বাংলাদেশের কোনো আদালত।
"২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি" - অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি অডিওর বক্তব্য শেখ হাসিনার উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছিলেন। শেখ হাসিনা ও শাকিলকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা হাজির হননি।
এই রায়ের অনুলিপি আইজিপিকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আসামিরা আত্মসমর্পণ করার পর বা যেদিন গ্রেপ্তার হবেন, সেদিন থেকে এই সাজা কার্যকর হবে।