মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২
আইন আদালত

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১০:২৬ পিএম

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে

ছবি- সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চলমান বিচারকার্য এখন শেষ পর্যায়ে। মাত্র ৯ দিনে ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে আন্দোলনরত শহীদদের স্বজন, আহত ব্যক্তি, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক রয়েছেন। সাক্ষীরা এক কণ্ঠে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ ফাঁসি দাবি করেছেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলায় আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হবেন। অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণে ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগতে পারে। এরপর উভয় পক্ষ চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শেষ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের জন্য দিন ঘোষণা করবে।

এই মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষী রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকও আছেন। মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হিসেবে সাক্ষ্য দেবেন।

গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগে বিচার শুরু করার আদেশ দেয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৪০০ আন্দোলনকারীকে হত্যার নির্দেশ, উসকানি, প্ররোচনা এবং ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ ও ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর একটি হলো আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনা নিয়ে এবং অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত।