‘আমার কিডনিতে অপারেশন, স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা’ বলে জামিন চাইলেন আফ্রিদি

জুলাই গণআন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি এই আবেদন করেন। তবে আইন-আদালত তার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

 পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে হাজির করা হয় তৌহিদ আফ্রিদিকে। এ সময় তার মুখে মাস্ক, মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।

দেশকে বেআইনি মবের শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: তারেক

বিস্তারিত পড়ুন

আদালতের অনুমতি নিয়ে তৌহিদ আফ্রিদি কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমার বয়স ২৫ বছর। চার মাস আগে কিডনিতে অপারেশন করা হয়। ইনসুলিন নেওয়া লাগে। আমার স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টা কম পাওয়ার নেওয়া যায় কি না।” জবাবে বিচারক তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, “আপনার যাবতীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবে।”

আফ্রিদির পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জামিন চেয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। মামলার বাদী নিজেই এফিডেভিট দিয়ে আদালতকে জানিয়েছেন, তথ্যগত ভুলের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, এটা একটি হত্যা মামলা। শুনানি শেষে আদালত তৌহিদ আফ্রিদির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৩০ আগস্ট নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলার আসামির তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের সঙ্গে নাসির উদ্দিন ও তৌহিদ আফ্রিদির নামও রয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে বরিশাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। পরদিন তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।