আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১১:০২ এএম
দেশের বাজারে গত কয়েক বছর ধরে ড্রাগন ফলের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা অনেক বেড়েছে। এর আকর্ষণীয় রং, অনন্য স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের কারণে অনেকেই এটিকে নিজেদের প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অসংখ্য উপকারিতা থাকলেও কিছু মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এই ফল খাওয়ার আগে এর উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দুটোই জেনে নেওয়া জরুরি।
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলো বিভিন্নভাবে আমাদের লাইফস্টাইল-কে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
-
আয়রনের কারণে রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে।
-
ফাইবারের কারণে হজমের সমস্যা দূর করে।
-
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
-
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) বের করতে সাহায্য করে।
-
শরীরে শক্তি জোগায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।
কিছু শারীরিক অবস্থায় ড্রাগন ফল গ্রহণে সতর্ক থাকা উচিত:
-
হজমের সমস্যা: যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের খালি পেটে এই ফল না খাওয়াই ভালো। এতে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া বা অস্বস্তির মতো সমস্যা হতে পারে।
-
কিডনির সমস্যা: যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত নয়।
-
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েরা: নিয়মিত খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
-
অতিরিক্ত খাওয়া: অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন একটি মাঝারি আকারের ড্রাগন ফলের অর্ধেক (প্রায় ১০০-১৫০ গ্রাম) খাওয়া যথেষ্ট। শিশুদের জন্য ৫০-৭৫ গ্রাম পর্যন্ত নিরাপদ। পর্যাপ্ত পানি না খেলে অতিরিক্ত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে, তাই এই ফল খাওয়ার সময় পানি পান করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ড্রাগন ফল নিঃসন্দেহে একটি 'সুপারফ্রুট'। তবে এটি নির্দিষ্ট মাত্রায় এবং সতর্কতার সঙ্গে খেলে তা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।