সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

গর্ভাবস্থায় বমিভাব? এই ৫ খাবারে মিলবে স্বস্তি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৭, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম

গর্ভাবস্থায় বমিভাব? এই ৫ খাবারে মিলবে স্বস্তি

ছবি- সংগৃহীত

গর্ভাবস্থায় বমি ও বমিভাব একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া হলেও, এটি একজন গর্ভবতী নারীর জন্য বেশ কষ্টকর। বিশেষ করে রাতের দিকে বা সকালে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। বমি করার পর শরীর দুর্বল ও ক্ষুধার্ত লাগা স্বাভাবিক। এ অবস্থায় হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য খাবার গ্রহণ করা জরুরি। জেনে নিন এমন কিছু খাবার, যা গর্ভাবস্থায় বমির সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে:

১. বাটারমিল্ক: দই ও পানি দিয়ে তৈরি বাটারমিল্ক একটি হালকা ও প্রশান্তিদায়ক পানীয়। এর ক্ষারীয় প্রকৃতি অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে সাহায্য করে এবং বমিভাব দূর করে। এতে প্রোবায়োটিক থাকায় হজমশক্তি ভালো হয়। বমি করার পর বাটারমিল্ক খেলে এটি পেটে জ্বালা করে না, বরং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। চাইলে এর সঙ্গে পুদিনা পাতা বা সামান্য ভাজা জিরার গুঁড়ো যোগ করে খেতে পারেন।

২. আদার পানি: বমিভাব দূর করার জন্য আদা একটি পুরোনো ঘরোয়া প্রতিকার। এতে থাকা 'জিঞ্জেরল' নামক প্রাকৃতিক উপাদান এই কাজে বেশ কার্যকরী। এক টুকরা আদা পানিতে ফুটিয়ে হালকা ঠান্ডা করে ছোট ছোট চুমুকে পান করলে পেটে আরাম পাওয়া যায় এবং বমিভাব কমে আসে।

৩. কলা: বমির পর কলা একটি নিরাপদ খাবার। এটি নরম এবং সহজে হজম হয়। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা বমি করার পর শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কলা তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় এবং পেটে কোনো জ্বালা সৃষ্টি করে না। পাকা কলা সরাসরি খেতে পারেন বা স্মুদি অথবা ফ্রুট সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন।

৪. মুগ ডালের পানি: মুগ ডালের পানি একটি আরামদায়ক ও হালকা খাবার। এটি পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিনের ভালো উৎস। মুগ ডাল নরম করে সিদ্ধ করে এর পানি ছেঁকে নিন। কোনো ধরনের মসলা বা লবণ যোগ না করে উষ্ণ অবস্থায় এই পানি পান করলে পেট ভরে, কিন্তু কোনো অস্বস্তি হয় না।

৫. ম্যাশড পটেটো: যদি হজমতন্ত্র সংবেদনশীল থাকে, তবে প্লেইন ম্যাশড পটেটো বা ভর্তা করা আলু একটি দারুণ আরামদায়ক খাবার। এটি নরম এবং প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। তবে এর সঙ্গে কোনো মাখন, তেল, বা মসলা যোগ করা থেকে বিরত থাকুন। মসলা ছাড়া শুধু সেদ্ধ আলু ভর্তা করে খেলে এটি সহজে হজম হয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।