সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

জরায়ু ক্যানসার থেকে বাঁচাবে যে পরীক্ষা, জেনে নিন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৯, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম

জরায়ু ক্যানসার থেকে বাঁচাবে যে পরীক্ষা, জেনে নিন

ছবি- সংগৃহীত

জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার নারীদের মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো রোগ সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করানো। এই রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এর নিরাময়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই সচেতনতা বাড়াতে এবং নারীদের জীবন বাঁচাতে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি।

জরায়ু ক্যানসার নারীদের জন্য একটি মারাত্মক ও বিপজ্জনক রোগ। তবে সঠিক সময়ে কিছু স্বাস্থ্যপরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ প্রাথমিক অবস্থাতেই নির্ণয় করা সম্ভব, যা অনেক জীবন বাঁচাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস না থাকলেও ৩০ বা ৪০ বছর পেরিয়ে গেলে প্রত্যেক নারীরই নিয়মিত কিছু পরীক্ষা করানো উচিত।

স্ত্রীরোগ চিকিৎসক ও রোবটিক সার্জন সুব্রত দেবনাথ জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের ব্যথা, ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত বা তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধ না খেয়ে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রূপস্রী দাশগুপ্ত বলেন, ৪৫ থেকে ৫২ বছর বয়সের পর মেনোপজ হলেও যদি রক্তপাত হতে থাকে, তাহলে তা স্বাভাবিক নয়। এই অবস্থায় নিচের পরীক্ষাগুলো করানো জরুরি:

  • ট্রান্সভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান: এই পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের ভেতরের সমস্যা আগেভাগে চিহ্নিত করা যায়। এটি একটি ব্যথাহীন পদ্ধতি।

  • হিস্টেরোস্কপি ও বায়োপসি: আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের পর কোনো সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়লে হিস্টেরোস্কপি করে জরায়ুর ভেতরের অংশ থেকে বায়োপসি স্যাম্পল নেওয়া হয়। এই রিপোর্ট থেকে ক্যানসারের ধরন ও অবস্থা জানা যায়।

বায়োপসি রিপোর্টে ক্যানসার ধরা পড়লে চিকিৎসকরা রোগটি কোন স্টেজে রয়েছে, তা দেখে অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করেন। অনেক ক্ষেত্রে কম বয়সে টিউমার বা সিস্ট হলে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে রোগীকে অজ্ঞান করে গোটা জরায়ু বাইরে এনে পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি নিরাপদ।