সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পাতে থাকুক দই, জানুন এর উপকারিতা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৬, ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পাতে থাকুক দই, জানুন এর উপকারিতা

ছবি- সংগৃহীত

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে শরীর সুস্থ রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সূর্যের প্রখর তাপ এবং উচ্চ তাপমাত্রা শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ ধরনের খাদ্যাভ্যাস জরুরি। শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন, যা শরীরকে ভেতর থেকে সতেজ রাখবে। এই ধরনের খাবারের মধ্যে দই অন্যতম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমের দিনে দই খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

গরমের দিনে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি তাপজনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। দই একটি দারুণ বিকল্প, যা হজমতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং পানিশূন্যতা রোধ করতেও সহায়তা করে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দই একটি দুগ্ধজাত পণ্য, যা ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস ও স্ট্রেপ্টোকক্কাস থার্মোফিলাসের মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া দিয়ে তৈরি করা হয়। দই তৈরির প্রক্রিয়াটি দুধকে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ একটি ক্রিমি উপাদানে রূপান্তরিত করে। এটি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই গ্রীষ্মের দিনে দই খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।

দই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবডির উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং ইমিউন কোষকে সক্রিয় করে তোলে, যা আপনার শরীরের সংক্রমণ ও রোগ সৃষ্টিকারী এজেন্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত দই খেলে শরীরের ইমিউনিটি বাড়ে। দই ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন বি১২-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এক কাপ দইয়ে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

দই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। দইয়ের প্রোটিন ও ফ্যাট উপাদান কার্বোহাইড্রেটের হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যা রক্তপ্রবাহে ধীরে ধীরে চিনিকে মুক্ত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি রোধ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

ত্বক ও চুলের যত্নেও দইয়ের ভূমিকা অপরিহার্য। দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে চুল পুষ্টি পায় এবং চুল পড়া, শুষ্কতার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। এর পাশাপাশি এটি ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকেও রক্ষা করে।

এছাড়াও, দই হিট স্ট্রোক ও তাপের কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। ওজন নিয়ন্ত্রণেও দই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ দই খেলে পেট ভরা থাকে, যা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।