জুলাই ২৩, ২০২৫, ১১:১৩ এএম
দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এবং হতাহতের সংখ্যা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার, কো-অর্ডিনেটর লুৎফুন্নেসা লোপা এবং একজন অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মোল্লা (যার সন্তান যাইমা জাহান চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী) রয়েছেন। এছাড়া, দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মারুফ বিন জিয়াউর রহমান ও মো. ভাসনিম ভূঁইয়া প্রতিককে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে।
কমিটিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরাসরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সংশ্লিষ্ট পরিবারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং নিশ্চিত তথ্য যাচাই করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কমিটির প্রতিবেদনটি শুধু অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হবে না, প্রয়োজনে সরকার, উদ্ধারকারী সংস্থা এবং অন্যান্য সহায়তাকারী কর্তৃপক্ষের কাছেও হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং সে অনুযায়ী সদস্যরা কাজও শুরু করেছেন।
এছাড়াও, এই কমিটি ছাড়াও দুর্ঘটনার সার্বিক দিক, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা, অবকাঠামোগত ক্ষতি এবং নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদাভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে। এটি ইঙ্গিত করে যে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি সমন্বিত উপায়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ জুলাই, ২০২৫) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হন, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়, যা জাতীয়ভাবে এই দুর্ঘটনার গুরুত্বকে তুলে ধরে। উচ্চ আদালতও ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন, যা মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের পাশাপাশি আরও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
আপনার মতামত লিখুন: