জুলাই ২৩, ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর মর্গে এখনো ছয়টি লাশ অজ্ঞাত অবস্থায় পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষ এসব অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সরবরাহের জন্য জরুরিভাবে অনুরোধ জানিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্বজন হারানো পরিবারগুলোর মধ্যে এখনো এক অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাত লাশগুলো থেকে ইতিমধ্যেই ডিএনএ অ্যানালাইসিসের (প্রোফাইলিং) জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই নমুনাগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-এর ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে।
যেসব পরিবারের সদস্য বা সন্তান এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের মালিবাগের সিআইডি ভবনে গিয়ে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের উদ্দেশ্যে নমুনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। নমুনা পাওয়া গেলে দ্রুত ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে লাশগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এটি নিখোঁজদের স্বজনদের জন্য দ্রুততম সময়ে পরিচয় নিশ্চিত করার একটি সুযোগ তৈরি করবে এবং তাদের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাবে।
তবে, একটি উদ্বেগজনক তথ্য হলো, এখন পর্যন্ত মাত্র একটি পরিবারের পক্ষ থেকে ডিএনএ নমুনা দেওয়া হয়েছে বলে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এটি পরিচয় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে। আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুর্ঘটনার আকস্মিকতা এবং গণযোগাযোগের অভাবে অনেক পরিবার এখনো এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত নন অথবা নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি।
কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই সংবাদ প্রকাশের পর আরও বেশি পরিবার ডিএনএ নমুনা দিতে এগিয়ে আসবেন, যাতে অজ্ঞাত লাশগুলোর পরিচয় দ্রুত নিশ্চিত করা যায় এবং তাদের যথাযথ ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি অনুযায়ী দাফন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। এই পরিস্থিতিতে, সরকারের উচিত ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এ বিষয়ে তথ্য প্রদানের জন্য একটি শক্তিশালী হেল্পলাইন বা প্রচারণার ব্যবস্থা করা।
আপনার মতামত লিখুন: