বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ভারতের চিকিৎসক দল ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যায়

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম

ভারতের চিকিৎসক দল ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যায়

ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দিতে ভারত সরকার চার সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স দল পাঠাচ্ছে। বুধবার (২৩ জুলাই, ২০২৫) সন্ধ্যায় এই দলটি ঢাকায় এসে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। এই পদক্ষেপ ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি মানবিক সহায়তা এবং প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।


ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, এই চার সদস্যের দলে রয়েছেন দুজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং দুজন প্রশিক্ষিত নার্স। তারা আজ সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকায় এসে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের চিকিৎসাসেবায় যোগ দেবেন।

এর আগে, মঙ্গলবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এই মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এই সহযোগিতার সিদ্ধান্ত দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কেরই প্রতিফলন।

এদিকে, সিঙ্গাপুর থেকে আগত চিকিৎসকদের একটি দল ইতোমধ্যে মঙ্গলবার রাতেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। বুধবার দুপুরে তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন। তাদের আগমনের ফলে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।

জানা গেছে, গত সোমবারের দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবকে ফোন করেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে ভারত যে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত, সে কথা তাকে জানিয়ে দেন। এই দ্রুত প্রতিক্রিয়া ভারতের সংবেদনশীলতা এবং সহায়তার মনোভাবকে তুলে ধরে।

সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ওই বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় তার শোক ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, "এই সংকটে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে এবং সব ধরনের সমর্থন ও সহায়তা দিতেও প্রস্তুত।"

এরপর থেকে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে দুই সরকারের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকার সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিকে জানানো হয়েছিল যে, বেশিরভাগ ভুক্তভোগীর শরীর পুড়ে গেছে, তাই দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ দল, যন্ত্রপাতি ও অত্যাধুনিক ওষুধপত্র পেলেই সবচেয়ে সুবিধা হবে। এই অনুরোধ অনুযায়ী দিল্লিও সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগ নেয় এবং নার্সসহ দুজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এটি প্রমাণ করে যে, ভারত বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে।

এই বিশেষজ্ঞ দলের আগমন বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় একটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এটি দুই দেশের মানবিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।