জুলাই ২৫, ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
গত সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশের শিক্ষাঙ্গন ও জনমনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এটি একটি নজিরবিহীন দুর্ঘটনা, যেখানে অসংখ্য শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিল। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের চিকিৎসা চলছে, কিন্তু প্রতিনিয়ত বাড়ন্ত মৃত্যুর সংখ্যা পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে গভীর হতাশা সৃষ্টি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আরও এক সম্ভাবনাময় প্রাণ, মাহিয়া তাসনিম, না ফেরার দেশে চলে গেল।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিয়া তাসনিমের (১৩) জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার সময় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামের স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, মাহিয়া তাসনিম চুয়াডাঙ্গা জেলার কুড়ালগাছী গ্রামের মৃত ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে মা বিউটি আক্তারের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরা ১৮ নম্বরে বসবাস করত। মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে গুরুতর দগ্ধ হয়েছিল মাহিয়া তাসনিম।
মাহিয়া তাসনিমের নানা নজরুল ইসলাম জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল সে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর মাহিয়া তাসনিমের মরদেহ প্রথমে নেওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাদের নিজ বাড়ি কুড়ালগাছি গ্রামে। এরপর শুক্রবার সকালে তার মরদেহ মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানেই স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। মাহিয়া তাসনিমের এমন অকাল মৃত্যুতে কুড়ালগাছি এবং জয়পুর উভয় গ্রামেই শোকের গভীর ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনা বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতাকে আরও একবার স্পষ্ট করে তুলল।
আপনার মতামত লিখুন: