মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি, স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৯, ২০২৫, ১২:০২ পিএম

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি, স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

ছবি- সংগৃহীত

আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সীমান্ত বিরোধের জেরে সম্প্রতি ভয়াবহ সংঘাত শুরু হয়েছিল। চার দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতের ফলে উভয় দেশের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অবশেষে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে, যা আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

চার দিনের বেশি সময় ধরে পাল্টাপাল্টি হামলার পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার এই যুদ্ধবিরতিতে নিজেদের সমর্থনের কথা জানায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো শর্ত ছাড়া থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় বাংলাদেশ একে স্বাগত জানাচ্ছে। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার মধ্যস্থতার জন্য আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার প্রশংসা করছে বাংলাদেশ। এছাড়াও, এই যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার অন্যান্য যেসব বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে, তাদেরও প্রশংসা করছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আশাবাদী যে, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া উভয়ই সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে তাদের অসামান্য সীমান্ত নির্ধারণের নিষ্পত্তি অব্যাহত রাখবে। একই সাথে, সীমান্তে উভয়পক্ষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য আক্রান্ত সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে শান্ত ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে প্রাথমিক পুনরুদ্ধারের কাজ করবে।

উল্লেখ্য, শত বছরের বেশি পুরোনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এই সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন।