আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কিছু অসৎ ব্যক্তির কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি জানান, একজন এজেন্সি মালিক ৩ হাজার বিড়ি নিয়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন এবং ফেরার পথে প্রায় আড়াই কেজি সোনা নিয়ে ধরা পড়েছেন। এই ঘটনায় হজ ব্যবস্থাপনার অনিয়ম ও দুর্নীতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘হজ ও ওমরাহ ফেয়ার ২০২৫’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। তিনি বলেন, “কিছু এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট লোকজন দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।” এই ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, সরকার নিষ্ক্রিয় এজেন্সিগুলোকে বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।
ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি কোনো এজেন্সির সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ কাউকে হজে যেতে দেওয়া হবে না এবং ২০২৬ সাল থেকে হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ (মনিটরিং) করবে সরকার।
এই ঘটনাটি হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই ধরনের অনিয়ম শুধু আর্থিক ক্ষতিই করে না, বরং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সুনামও ক্ষুণ্ণ করে। ধর্ম উপদেষ্টার এই কঠোর অবস্থানের ফলে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষ আরও সতর্ক হবে বলে আশা করা যায়।