মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে যথাযথ জরিপ চালিয়ে মৎস্য আহরণের সঠিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে এবং এজন্য আমাদের গবেষণার পরিমাণ বাড়াতে হবে।

আজ (সোমবার) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে আজ পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূস বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা তা এখনো পুরোপুরি আহরণ করতে পারিনি। তিনি এই খাতে উদ্যোগী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, মাছ আমাদের জন্য প্রকৃতির এক উপহার, আল্লাহর দান, কিন্তু প্রকৃতির প্রতি আমরা অত্যন্ত নির্মম। যদি এটি চলতে থাকে, তাহলে অন্যান্য অনেক কিছুর মতো মাছও আমাদের কপাল থেকে চলে যাবে।

প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ:

• চাষের মাছের গুরুত্ব: তিনি বলেন, আমিষের চাহিদা মেটাতে বর্তমানে চাষের মাছের অবদান অনেক বেশি এবং এ খাতে তরুণ উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন।

• ইলিশ সংকট: ইলিশ মাছ দেশের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সঠিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে ইলিশের প্রাপ্তি বাড়বে।

• পরিবেশ দূষণ: তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা নদীতে সব ধরনের বর্জ্য ফেলে পানি নষ্ট করছি এবং ফসল উৎপাদনে নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করছি।

• টেকসই পদ্ধতি: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে মৎস্য শিল্পকে বাঁচাতে হলে টেকসই পদ্ধতি আবিষ্কার করতে হবে।

• রপ্তানি বৃদ্ধি: অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মাছের রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯ জনকে স্বর্ণ, ৫ জনকে রৌপ্য এবং ২ জনকে ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়।