সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০২:১১ পিএম
সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি ও পদায়ন নিয়ে নতুন নীতিমালা জারি হওয়ায় বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় ১৯ হাজার সদস্যের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আগে ঢাকার বাইরের প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে বদলির সিদ্ধান্ত নিতে পারত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর, কিন্তু নতুন নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী সেই ক্ষমতা আর তাদের হাতে নেই। সব ক্ষমতা এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে চলে গেছে।
গত ৩০ জুন জারি করা নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাউশি অধিদপ্তর এখন শুধু ঢাকাসহ বড় সিটি করপোরেশন এলাকা বাদে অন্য জেলা ও উপজেলায় প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে বদলির জন্য ফাইল উপস্থাপন করতে পারবে, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। তবে একই দিনে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশের প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপকদের বদলির ক্ষমতা মাউশি অধিদপ্তরের হাতে থাকবে, যা নীতিমালার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আগের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল, যারা ব্যক্তিগত স্বার্থে এই ধরনের নীতিমালা তৈরি করেছিল। যদিও সেই সিন্ডিকেট এখন আর নেই, তবুও আমলারা নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে এই নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আনছেন না। শিক্ষকরা বলছেন, তাদের সমস্যার কথা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বলা কঠিন, কিন্তু মাউশি অধিদপ্তরে যেহেতু শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ। মাউশি অধিদপ্তরের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার কারণে এই প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।