সার আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : কৃষি মন্ত্রণালয়

সার আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগকে ভিত্তিহীন, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায় যে, কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অসত্য তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নন-ইউরিয়া সার আমদানি ২০১৫ সালের নীতিমালা অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরের ভিত্তিতে করা হয়। এর আগে একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন দরে সার কেনা হতো, যা সরকারের বিপুল ক্ষতির কারণ ছিল। বর্তমান সরকার শুধু সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে সার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকারের বিশাল অঙ্কের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। এর ফলে অস্বাভাবিক মুনাফার সুযোগ বন্ধ হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হয়েছে।

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

বিস্তারিত পড়ুন

কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, কোনো একক দেশ একসঙ্গে সম্পূর্ণ চাহিদা মেটাতে পারে না বলে দীর্ঘকাল ধরেই বিভিন্ন দেশ থেকে সার আমদানি করা হয়। ভৌগোলিক দূরত্ব এবং পরিবহন খরচের কারণে দেশভেদে সিএফআর মূল্য ভিন্ন হয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি নিয়ম।

মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানায়, কোনো নির্দিষ্ট সারের জন্য একই মূল্যে সব আমদানিকারককে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন দরে নয়। কোনো পক্ষপাত বা বৈষম্য দেখানো হয়নি। মন্ত্রণালয় আরও জানায় যে, বর্তমান সরকারের স্বচ্ছ পদক্ষেপের কারণে অতিরিক্ত দরে সার আমদানির সিন্ডিকেটের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে একটি মহল অপপ্রচারে নেমেছে। মন্ত্রণালয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য অনুরোধ জানায়।

যেসব বিভাগে হতে পারে ভারী বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

বিস্তারিত পড়ুন

কৃষি মন্ত্রণালয় মনে করিয়ে দেয় যে, বর্তমান সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে কাজ করছে। গত এক বছরে কৃষি খাতে সরকারের সাফল্যের কারণে বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন সম্ভব হয়েছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বড় অবদান রাখছে।