সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আরও স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার লক্ষ্যে ৮টি সুপারিশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’-এ এই সুপারিশগুলো তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী সরকারের বাজেট কাঠামো বজায় রাখলেও স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পূর্ববর্তী সরকার অনলাইনে বাজেট প্রকাশ করলেও বছরের শেষ হিসাব সময়মতো প্রদান করা হয়নি। এছাড়া, বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্যের ঘাটতি ছিল, বিশেষ করে নির্বাহী বিভাগের ব্যয় আলাদাভাবে দেখানো হয়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের নিরীক্ষা সংস্থার স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে, কারণ তারা পূর্ণাঙ্গ হিসাব যাচাই করতে পারেনি। যদিও প্রাকৃতিক সম্পদ খাতে চুক্তি ও লাইসেন্স প্রদানে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে, তবে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয় যে, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের সব কার্যক্রম উন্মুক্তভাবে সম্পন্ন করেছে এবং পূর্ববর্তী সরকারের সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি স্থগিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশগুলো হলো:
-
বছরের শেষ হিসাব প্রতিবেদন দ্রুত ও সময়মতো প্রকাশ করা।
-
বাজেট নথি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রস্তুত করা।
-
নির্বাহী বিভাগের ব্যয় আলাদাভাবে প্রদর্শন করা।
-
রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ চিত্র বাজেটে উপস্থাপন করা।
-
নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
-
পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা প্রতিবেদন সময়মতো প্রকাশ করা।
-
সরকারি ক্রয়ের বিস্তারিত তথ্য উন্মুক্ত করা।
-
প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ-সংক্রান্ত চুক্তির তথ্য প্রকাশ করা।
দিনাজপুর টিভির সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
-20250806074544.jpg)
