মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই ঘোষণাপত্র‍‍` অনুষ্ঠানে জামায়াত, যোগ দিচ্ছে প্রতিনিধি দল

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৫, ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

জুলাই ঘোষণাপত্র‍‍` অনুষ্ঠানে জামায়াত, যোগ দিচ্ছে প্রতিনিধি দল

সংগৃহীত

গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। নতুন সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক অনুষ্ঠানে 'জুলাই ঘোষণাপত্র' পাঠ করার কথা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই আমন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনূস আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক সমাবেশে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন। এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সরকারের এই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে জামায়াত তাদের প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের পক্ষ থেকে মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন— সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. হামিদুর রহমান আযাদ।

জামায়াতের এই অনুষ্ঠানে যোগদানকে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা জামায়াত এই আমন্ত্রণের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

এই ঘটনা দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, তা এখন দেখার বিষয়। অনেকেই মনে করছেন, এটি দেশের রাজনৈতিক সংকটের একটি সমাধানসূত্র হতে পারে, যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। আবার কিছু মহল এই আমন্ত্রণের সমালোচনাও করতে পারে। তবে আপাতত জামায়াতের যোগদান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন আলোচনা ও জল্পনার জন্ম দিয়েছে।