আগস্ট ১০, ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় সংসদের আসনগুলোর নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করেছে। এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, কারণ এর মাধ্যমে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যা ও ভৌগোলিক অবস্থান পরিবর্তিত হতে পারে। অতীতে এই ধরনের পুনর্বিন্যাস নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) ইসির চলমান কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে চাইছে।
নির্বাচন কমিশনের চলমান নির্বাচনী সীমানা পুনর্বিন্যাস কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মূল্যায়ন, পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)। রবিবার (১০ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাৎ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন এই কমিটি অনুমোদন করেছেন। কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ছাত্রনেতা সাইফুল্লাহ হায়দারকে।
এছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল আমিন, জহিরুল ইসলাম মুসা ও আরিফুর রহমান তুহিন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্বিন্যাসের চলমান কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে এনসিপি এই কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির মূল লক্ষ্য হলো ইসির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা।
নির্বাচনী সীমানা পুনর্বিন্যাস একটি দেশের গণতন্ত্র ও প্রতিনিধিত্বের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এনসিপির এই পদক্ষেপটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।